top of page

রসহ্য উদ্ঘাটন

শান্তি ও সুখ কথা দুটি শুনলে পর সবার মনে আনন্দ ধরে, মনে মনে কামনাও করি তাই, কিন্তু সে সুখ সে শান্তিু কোথায় পাব ? শান্তি ক্ষনস্থায়ী নয়, শান্তি চিরস্থায়ী। পরপারের মুক্তি ও মিলনের আসে সঠিক পথ অনুসন্ধানের জন্য কেউ বৃক্ষের নীচে, কেউ পাহাড়-পর্বতে, কেউ মসজিদে, কেউ মন্দিরে, যার যেখানে মন ছুটে বেড়াচ্ছে সেখানেই সে অনুসন্ধান করছে।

আমরা দল বেধে কিছু মক্কা শরীফ, কিছু আজমীর শরীফ, বেলতলি, আটরশি, বাঘের হাট, সিলেট ভিবিন্ন স্থানে দূর দুরান্ত থেকে ছুটা-ছুটি করে হয়রান হচ্ছি। এ হয়রানীর পেছনে একটা মহৎ উদ্দেশ্য নিহিত রয়েছে আর তা হচ্ছে পরপারের মুক্তি।

যে যেখানে গমন করেছেন তথা হতে যে বাণী শ্রবণ করেছেন, তা পেয়েই সে সন্তুষ্টি লাভ করছেন। 

 

সত্য ও সঠিক পথ দেখাবার জন্য বিগত দির্ঘ দিন যাবৎ আপনাদের সু-পরিচিত, বিশ্ব শান্তিকামী মোঃ লাল মিয়া শান্তির বাণী প্রচার করে মুক্তি ও মিলনের ডাক দিচ্ছেন। আমরা নিরক্ষর ভেবে পাগল উপাধি দিয়ে দুরে সরিয়ে রাখছি।

চক চক করলেই স্বর্ণ হয় না।গোবরে ও পদ্ম ফুল ফুটে।

যে খানে দেখিবে ছাই, উড়িয়ে দেখিবে তাই

পাইলে ও পাইতে পার মানিক রতন।

 

একজন মানুষকে তার বাহিরের চাকচিক্য দেখে বা তার নোংরা পরিবেশ দেখে তার আসল পরিচয় জানা যায় না। যতদিন না তার ভিতর বাহির সম্পর্কে পুরো পুরি অবহিত না হব। তাহলে আপনারা দয়া করে একবার লাল মিয়ার কাছে আসুন আসল পরিচয় জানার জন্য। তিনি জীবনে কোন দিন স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসায় বিদ্যাভ্যাস করেননি, এমনকি কোন পীরের মুরিদও হননি। এখন ভাববার বিষয় তাহলে তিনি কি ভাবে কোথায় পেলেন এ গভীর তত্ত্বকথা ? কি জন্যে কেন এত ত্যাগ স্বিকার করে মানুষের দ্বারে দ্বারে কাঙ্গাল বেশে মুক্তির ডাক ছাড়েন ? মানুষে বলে পাগল, ফকির, সাধু, সন্ন্যাসী যার যা মনে ধরে। তার এসব রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য আজ আমরা গোপন তথ্য জনসম্মুখে তুলে ধরছি। কি ভাবে কোথা হতে তিনি এ তত্ত্ব কথা লাভ করেন।

সে অনেক বড় ইতিহাস তাই সংক্ষেপে আংশিক জানাতে চেষ্টা করছি। 

 

তিনি একজন খেয়া ঘাটের মাঝি নৌকা চালাতে অনেকে দেখেছেন, দুরের যারা তারা হয়ত শুনেছেন, আবার কেউ কেউ হয়ত শহর বন্দরে কোর্ট কাচারীতে, মসজিদ, মন্দিরে, গীর্জায়, হাটে, বাজারে, ফকিরের মেলায়, ওয়াজ মাহফিলে সর্বত্র শান্তির বাণী প্রচার করতে দেখেছেন। তিনি ধলেশ্বরী খেয়াপার তরণী ঘাটে খেয়াপার করতেন। 

 

একদিন সন্ধ্যার পর তিনি একাই নৌকায় বসা, কোথাও কোন লোকের সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। রাত্র যখন ৮-৯ টা হল তখন হঠাৎ করে দেখা গেল একজন লোক ধীর পথে েতার নৌকায় এসে উঠলেন, উঠে বললেন, মাঝি নৌকা ছাড়। একজন লোক নিয়ে পারাপার করলে পোষাবে কি ? না ইতস্ততঃ করতে লাগলেন কিন্তু আগন্তক কয়েকবার বলার পর তিনি নৌকা ছাড়লেন। নদীর কিছু দুর যেতে না যেতেই দেখলেন নৌকায় সাত জন লোক। সাত জন লোক দেখে তিনি থমকে গেলেন, মনে মনে ভাবলেন আরে ব্যাপার কি ? একজন লোক নিয়ে নৌকা ছাড়লাম এখন সাত জন লোক এলো কত্থেকে ? এরকম ভাবার পর নৌকা যখন নদীর মাঝ খানে অবস্থান করল, তখন দেখতে পেলেন ছায়ার মত কায়া ধরা অসংখ্য লোক। সবাই নিশ্চুপ। এত লোক দেখে তার ভয়ে শরীরের পশম খারা হয়ে গেল, মনে হল এ যেন আজব পরিস্থিতি।

 

আল্লাহ রাসুলের লিলা বুজা দায়। তাই তার মুখ দিয়ে আপনি সরা সরি গালি বের হয়ে এল যে তোরা এক চোর নৌকায় উঠলি এত চোর কোথা হতে এলি ? সব আমার নৌকা হতে নাম। সবাই বলল মাঝি নৌকা চালাও। তিনি বললেন তোরা কারা ? কেন এলি ? পরিচয় না দিলে নৌকা চালাব না। নৌকা নদীর মাঝ খানে স্থির হয়ে রহিলো। তখন সবাই প্রত্যেকের মুখ পানে চেয়ে বলা বলি করতে লাগলেন পরিচয় দিতে আসছি পরিচয় দাও। প্রথম ব্যাক্তি তার নিজের পরিচয় হযরত মোহাম্মদ (দঃ) বলে তৈয়ম, তাহের, বিল্লাল, ইসমাইল, ফাতেমা জান্নাত যার নাম, ইমাম হাসেন, ইমাম হোসেন, আবু বক্কর সিদ্দিক, উসমান গনি এ ভাবে এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বরের নাম বলে সকলের পরিচয় দেন।

 

তারপর বলেন তুই কি চাস ? তুই যদি নদীর পানি, মাটি, গাছের পাতা, যে কোন রাগীর হাত দেছ, যে কোন রোগ ভাল হবে। তিনি বললেন আমি এ সবের কিছুই চাই না। আপনার উম্মতকে হেদায়েত করার চাকুরী চাই। চোখের পানি ফেলে বললেন, আমার উম্মত কে  গান-বাজনা, ওয়াজ নছিহত সবই দিয়াছি কোন ক্রমেই আমার উম্মত হেদায়েত হয় নাই। উম্মতের মার-পিট, জুলুম-অত্যাচার, আমি সহ্য করতে পারি নাই, তুই এ চাকরী পারবি না। তিনি বললেন আপনার দোয়ায় আমি পারব। মুখ বাক্য দিলেন গালি দিয়ে আমার উম্মত কে হেদায়েত কর, মার খাইছ, মারিছ না। আমিই বিচার করব। যখন আমার  উম্মত বুজে শুনে চিনে তোকে রেডিওতে পাঠাবে, সেখানে গিয়ে দেখবি আমি বসা। রেডিওতে তোকে বলতে হবে না, আমার উম্মত কে আমিই হেদায়েত করব। লোকে দেখবে তুই বলতেছিস, যাদের মনশ্চুক্ষু আছে তারা আমাকে দেখবে। আখের জাখের বায়তন ও গুপ্তন সব জায়গায় ই আমি, এ সমস্ত কথোপকথনের পরই তারা নিমিষে উধাও হয়ে যান। 

 

এখান থেকেই তিনি মুখ বাক্যদ্বারা তত্ত্ব কথা লাভ করলেন। এখন  আপনারা নিশ্চয় জানলেন তিনি কি ভাবে কোথা েহইতে তত্ত্ব কথা লাভ করলেন, তাকে আরো ভাল করে জানতে হলে চিনতে হলে তার স্মরণাপন্ন হয়ে গোপন তত্ত্ব সংগ্রহ করুন। 

 

প্রত্যেক যুগেই একজন করে মহা মানবের আগমন ঘটে। এটা আউলিয়াদের যুগ। রাজা যদি আউলিয়া হন তবে প্রজাও আউলিয়া হবে, এ সত্য যুগে যে মহামানবের আগমন ঘটবে তার নাম হচ্ছে হযরত ইমাম মেহেদী (আঃ) ইমাম মেহেদী (আঃ) এর আগমন সম্পর্কে অনেক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। আপনারা যদি বিতর্কের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে সেই মহা মানব কে আপনাদের মাঝে শান্তি ও প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে পেতে চান তবে “অমর বাণী” গ্রন্থের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পাঠ করে বিবেকের সাথে বুজাপড়া করে হৃদয়ঙ্গম করুন। সব কিছু পরিস্কার বলে হালকা বলে মনে হবে। 

শান্তির বাণী

মুক্তি ও মহা মিলনের ডাক

 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

আসসালামু আলাইকুম, ইয়া রাসুল আল্লাহ্ তুমি মাফ কর, তুমি দয়া কর, তোমার দয়া চাই, তুমি শান্তি দাও, তুমি বাচাঁও, তুমি বাচাঁনে ওয়ালা, তুমি শাফায়ত করনে ওয়ালা, তুমি ব্যাতিত কেউ শাফায়ত করতে পারবে না। হে আল্লাহর রাসুল তোমার কুদরত বড়, কুদরতে তুমি যা ইচ্ছা তাই করতে পার, তবুও আমি মাফ চাই তোমার দরবারে, তুমি মাফ কর। কুরআনে লিখিয়াছ তোমার নাম রহমানির রাহিম, তুমি সারা দুনিয়ায় রহমত নাজিল কর। 

 

আসসালামু আলাইকুম এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর, যে যেখানে থাকুক না কেন হে আল্লাহর রাসুল কুদরতে ‍তুমি সকলের চরণে ছালাম পৌছাও। আমরা যুগে যুগে অন্যায় করেছি, সকল যুগের অন্যায় গুলি একত্রে সকলের কাছে ক্ষমা চাই। সকলে মিলে ক্ষমা করে সারা দুনিয়া এক হয়ে বিশ্ব শান্তি আনয়ন করুন।

 

আমার কথা গুলি প্রথমতঃ শুনলে মনে হবে নতুন, উল্টো এবং অবিশ্বাস্য কিন্তু তাই বলে চটে যাবেন না, উত্তেজিত হবেন না, ক্ষেপে মার মুখী হবেন না। জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালিয়ে পরম আত্মা অর্থাৎ দিল কুরআন দিয়ে বিবেকের মাপ কাঠিতে যাচাই করে সত্যতা ও সঠিকতা নিরুপন করবেন। বর্তমানে পৃথিবীতে সত্যকে মিথ্যার মাঝে দাড় করাতে গেলে সত্যই মিথ্যা হয়ে ধরা দেয়, আসল নকল হয়ে ধরা দেয়। আক্কেলের বিচার হবে, আক্কেল দিয়ে সত্য মিথ্যা আসল নকল যাচাই বাছাই করে নিবেন। 

 

আজ আমরা পার্থিব শান্তির জন্য ভব পারের মুক্তির জন্য দল বেধে কিছ মক্কা শরীফ, কিছু আজমির শরীফ, কিছু আটরশি, কিছু বেলতলি, কিছু বাঘের হাট, কিছু শিলেট শাহজালালের দরগাহ বিভিন্ন তির্থস্থানে খুজে খুজে হয়রান হচ্ছি। সারা দুনিয়া কি ভাবে এক নামে, এক ধর্মে, এক আইনে আসতে পারবে। কি ভাবে গজবের হাত থেকে, বাহত্তুর মতবাদ থেকে, অভাব অনটনের হাত থেকে, বিশ্ব যুদ্ধের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে বিশ্ব শান্তি লাভ করতে পারবেন। সে জন্য মুক্ত কন্ঠে পরিষ্কার ভাষায় জগৎ কান্না গোটা বিশ্ববাসীকে মুক্তি ও মহা মিলনের ডাক দিচ্ছেন।

 

প্রিয় বিশ্ববাসী ? আপনারা এখনো নিদ্রা মগ্ন, ঘুম আপনাদের এখনো ভাঙ্গেনি, মুসলমানদের পবিত্র কুরআনে বর্ণিত আশি হিজরীর পর সারা দুনিয়া খাটি মুসলমান হতে হবে। হিন্দুদের মহাভারতে বর্ণিত সারা দুনিয়া েএক নামে আসতে হবে। খৃষ্টানদের পবিত্র বাইবেলে বর্ণিত সারা দুনিয়া এক হতে হবে কিন্তু আশি হিজরী পেরিয়ে বহু বৎসর গত হতে যাচ্ছে এখনো সারা দুনিয়া এক হলনা। হাশরের মাঠে ইমাম হোসেনের হাতের বাজু কাটার বিচাঁর ও হলনা। কোরআনের ভাষায় নবী, ভরতের ভাষায় নিমাই সন্ন্যাসী এবং বাইবেলের ভাষায় যিশুখৃষ্ট আজও পূর্ন্যবার ফিরে েএলো না, যুগে যুগে পথ ভুলা অন্ধ মানুষ গুলোকে সত্য ও সঠিক পথ দেখিয়ে অন্ধকার নরক হতে আলোকিত স্বর্গে আনয়নের জন্য এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বরের আগমন ঘটে ছিল কিন্তু তারা অন্ধ মানুষের নিষ্ঠুর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শেষ যুগের সত্য বিচারের আশা বুকে নিয়ে কায়া পরিবর্তন করেন। এটাই শেষ যুগ, এটাই শাফায়াতের যুগ। তাই যারাঃ-

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ক্ষমাই পরম ধর্ম, এটা আউলিয়াদের যুগ, এ যুগে ন্যায় অন্যায়ের বিচার করে কলির জীব কে ভব পার করে বিশ্ব বাসিকে স্বর্গ সুখ দান করার জন্য এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বরের পূর্ণ্যবার আগমন ঘটবে। এ যুগে পূর্ব যুগের সকল অত্যচারীর অত্যাচারের সূক্ষ্ণ বিচার হবে। সকল দোষী লোক গুলো ধরা পড়বে, সারা দুনিয়ার সবাই কম বেশি দোষী, একজন মাত্র নির্দোষী এবং নিষ্পাপ, এ যুগে সেই নির্দোষী নিষ্পাপ, বিশ্ব শান্তিকামি, বিশ্ব নেতা, সত্যের সাধক, আল-আমিন, ঈমানদার ব্যাক্তি, সত্য, শান্তি ও মিলনের বাণী নিয়ে বিশ্বের দরবারে হাজির হবেন।

যুগে যুগে যিনি 

এ যুগে ও তিনি

যুগে যুগে একই জন

একজন ছাড়া কেউ উম্মতি উম্মতি করতে পারবে না, এক বিন্দু দুই জানলে হবে গুনাহগার। ‍যিনি শাফায়াতের মালিক পাড়ের কান্ডারী, উম্মতের জামিনদার, উদ্ধারকর্তা, মুক্তিদাতা। এটাই শাফায়াতের যুগ, শাফায়াতের আশে ‍যিনি পূর্ব যুগে বাদশাহী পেয়ে বাদশাহী না করে উম্মতের জন্য দিওয়ানা হয়ে দারিদ্রতার চরম শিখরে আরোহন করে দিন যাপন করে গেছেন। যার হাতে রয়েছে আলৌকিক ক্ষমতা, যার এলেম হবে গাইবি এলেম। যার তত্ত্ব কথায় খন্ডন হবে বাহাত্তুর মতবাদ। ভুল ভাংবে গোটা বিশ্ব বাসির। যার সত্য ও সঠিক রাজনীতি দেবে সারা বিশ্বকে স্বর্গ রাজ্যে পরিণত করে। যার পরশে মাটি হবে স্বর্ণে পরিণত। শেষ যুগের উম্মতের জন্য যিনি পূর্ব যুগের স্বর্নের পাহাড় ব্যায় না করে বর্তমান আখেরী শেষ যুগের উম্মতের জন্য আমানত রেখে গেছেন, তার দ্বারা উদ্ধার হবে পূর্ব যুগের লুকানো গুপ্ত ধন রত্ন। পরিবর্তন হবে নামদারি মানুষের মাঝে জীব আত্বার। আজ গাছে ফল নেই, নদীতে মাছ নেই, জমিনে বরকত নেই, গাভির দুধ নেই, প্রকৃত যেন বদলে গিয়ে বিপুল পবিবর্তন সাধিত হয়েছে। পশুর সংখ্যা হ্রাস পেয়ে পশু আত্মা মানব কায়া ধরে মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ আমরা রোগে শোকে অভাব-অনটনে, অন্যায় অত্যাচারে, সুধে, ঘুষে, আরজকর্তা, জটিল সমস্যায় জর্জরিত।

কেউ পাচ্ছে, কেউ পাচ্ছে না

কেউ খাচ্ছে, কেউ খাচ্ছে না

কিন্তু না

তা হবে না

তা হবে না।

এ যুগে সবাইকে সমান ভাবে সব কিছু বন্টন করে নিতে হবে, যুদ্ধ করে সংগ্রামের ভিতর দিয়ে নয় মানবতার মধ্য দিয়ে।

 

তাইঃ- আমার একার সুখ, সুখ নহে ভাই

সকলের সুখ সখা, সুখ শুধু তাই

আমার একার আলো সে যে অন্দকার

যদি না আমি সবারে অংশ দিতে পাই।

সকলের সাথে বন্ধু, সকলের সাথে যাইব

কাহারে বল ফেলিয়া পশ্চাতে 

ভাইটি আমার সেজে, ভাইটি আমার

নিয়ে যদি নাহি পারি হতে অগ্রসর

সে আমার দূর্বলতা েশক্তি সে আমার নয়।

সবাই আপন কে আমার পর

হৃদয়ের যোগ সে কি কভু িছিন্ন হয়

এক সাথে বাচিঁ আর এক সাথে মরি

এসো বন্ধু জীবন সুমধুর করি।

 

ন্যায্য অধিকার হতে প্রতিটি মানুষ বঞ্চিত, চুরি, ডাকাতি, গুন্ডামি, বদমাসী, নাচ-গান, বেশ্যালয়ে গমন ইত্যাদি পাপ কার্যে িলিপ্ত। আমরা দুঃখের মহা সমুদ্রে সাতার কাটছি, গজবের মাঝে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছি। কে দেবে এই গজবের হাত থেকে রেহাই, কে দেবে পূর্ণ সুষ্ঠ সমাধান ? আজ ক্লান্তি লগ্নে চরম বিপদের দিনে ভয়াভহ পরিস্থিতিতে তিনি কোথায় ? ভয় নেই বন্ধু গন, ভয় নেই। আজও তিনি জিন্দা, অমর হায়াতুন্নবী আখের, যাখের, বায়তন, গুপ্তন, সব জায়গায়ই তিনি, যুগে যুগে শুধু ভিবিন্ন নাম ধারন করে কায়া পরিবর্তন করে নুরতনে নুরের খেলা খেলিতেছেন। যিনি দুঃখের মহা সমুদ্র পাড়ি দিয়ে সুখের পর্বত চুড়ায় পৌছে দেবেন। তাই তিনি বলেনঃ-

 

আমরা চাই বিশ্বদার উদার প্রাণ

অভেদ খৃষ্টান হিন্দু

দ্বোষ নাই এক বিন্দু

নিরেখ জগতে ভরা এক আল্লাহ রাসুল

জ্ঞান সত্য নীতি পুজে 

দলা দলি নাহি বুজে

সে জানে সকলে এক মায়েরই সন্তান

মরমে মহত্ব পূর্ন

হীনতা করেছে চুর্ন

হৃদয়ের ভাব সব উদার মহান

ন্যায় তরে প্রিয় ত্যাগী

প্রীতিতে পরানু বাগী

সমাদরে রাখে জ্ঞানি গুনীর সম্মান

অনুতপ্ত অশ্রুদার 

কখনো সহেনা তার 

অনুতাপি পাপী পেলে পূন্য করে দান।

 

বিশ্বের উন্নতি আশা 

বিশ্বময় ভালবাসা

বিশ্বের মঙ্গল করি দান

মরতে সে দিবে পথ 

উপাস্য নমস্য মম

বসুদা কৃতার্থ তারে কোলে দিয়ে স্থান

আমরা সাধি সাদনা সে দেবে তার প্রাণ

সবারে বাসবে ভাল

নইলে মনের কালি ঘুচবে না

আছে তোর যাহা ভাল ফুলের মত দে সবারে 

করিস তুই আপন আপন

বিলিয়ে দে তুই যারে তারে।

যারে তুই ভাবিস কনি তার মাথায় আছে মনি

বাজা তোর প্রেমের বাশি, ভবের বনে ভয় বা কারে

সবাই যে তোর মায়ের ছেলে

রাখবি কারে কারে ফেলে

একই নায়ে সকল বায়ে যেতে হবে ওপাড়ে।

 

যিনি জাতী ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে একই নায়ে ভব পার করবেন বলে পাড়ের ঘাটে বাসা বেধে কেদে কেদে নয়ন জলে বুক ভাসিয়ে সবাইকে মুক্তির ডাক ছেরে আশায় আশায় মুক্তি ও মহামিলনের দিন গুনছেন। তাই তিনি ভারা ক্রান্ত হৃদয়ে অশ্রু সজল নয়নে গান গাইছেন।

 

আমি কান্দি নদীর কিনারায়

আমি কান্দি নদীর কিনারায়

বেলা বইয়া যায়।

মনের দুঃখ মনে রইয়া যায়

কেমনে পাড়ি ধরি রে ডেউ ওঠছে সাগরে রে

দিবানিশি কান্দিরে আমি নদীর কুলে বইয়া 

ও মনো রে যারা ছিল চতুর নাইয়া তারাই গেল বাইয়া 

হায় হায় আমি অদম রইলাম পরে আমার ভাঙ্গাতরি লইয়া। 

মনের দুঃখ কইনারে বন্ধু রাইখাছি অন্তরে রে 

দিবা নিশী কান্দিরে আমি নদীর কুলে বইয়া। 

নদীর একুল ঐ ধইরা উথাল পাতাল ঢেউ 

বৈঠা হাতে আমি একা সঙ্গে নাই মোর কেউ

চারিদিকে তর্ক ওছে সাঙ্গ নাহি হয়

​কথায় কথায় ভারে কথা, সংসয়ের উপরে চাপিয়ে সংসয়

কেবলি বাড়িছে ব্যাকুলতা 

ফেনার উপড়ে ফেনা ডেউয়ের পরে ডেউ

গর্জনে বধির শ্রবন তীর কোন দিকে আছে নাহি জানে কেউ

হা হা করে আকুল পভন কল্ললের মাঝে নিয়ে েএসো কেহ

নিরবে মিটিয়া যাবে সকল সন্দেহ, থেমে যাবে শহস্র বচন। 

 

তাই আজ সারা দুনিয়া যদি সেই নির্দোষি নিষ্পাপ, বিশ্ব নেতা নবি-কুল শ্রেষ্ঠ বর্তমান যুগে যিনি হযরত ইমাম মেহেদী (আঃ) নাম ধারন করে বিশ্বের দরবারে হাজির হবেন। সেই দয়াশীল ক্ষমাশীল, উধার, মহৎ, মিলন দূত মুক্তিদাতা বিশ্ব শান্তিকামি কে যদি আপনাদের মাঝে শান্তি ও প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পেতে চান, সারা দুনিয়া যদি এক নামে এক ধর্মে এবং এক হতে চান বাহাত্তুর মতবাদ খন্ডন করে যদি বিশ্ববাসির ভুল ভাংতে চান, যদি আসমানি যমিনি গজব হতে রেহাই পেতে চান। তবে আপনারা সবে মিলে মোঃ লাল মিয়া(গ্রাম ও পোষ্ট অফিসঃ পুরাকন সোনাকান্দা, উপজেলাঃ কোনাখোলা, জেলাঃ ঢাকা) কে বিশ্বের যে কোন বেতার ভবন থেকে তার গাইবি এলেম তত্ত্ব কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রচারের আয়োজন করুন। কারন একটি মানুষ কে অন্দকার নরক হইতে বুজিয়ে ভুল ভেঙ্গে আলোকিত স্বর্গে আনয়নের জন্য বহু তর্ক বির্তকের সম্মুখিন হতে হয়। বেতার মাধ্যমে প্রচার করলে গোটা দুনিয়া সবার বুঝ হবে এবং ভুল ভাংবে। এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর কেউ মরেনি। শুধু অত্যাচারীর ভয়ে কায়া পরিবর্তন করেন। যখন বিশ্ব শান্তিকামি মোঃ লাল মিয়া তার গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য বিশ্ববাসির উদ্দেশ্যে পেস করতে থাকবেন তখন তার মুক্তির ডাক শুনে এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর যে যেখানে থাকুক না কেন সবাই এসে বলবে আমার নাম ইমাম মেহেদী (আঃ) একের পর এক সবাইকে সেখানে বলতে দেওয়া হইবে। যার কথা সবচেয়ে ভাল হবে এবং যার প্রচারিত ইসলামিক দৃষ্টিতে রাজনৈতিক আইন গোটা বিশ্ববাসি মেনে নেবে তার নাম হবে ইমাম মেহেদী (আঃ) সেখানে কোরআনের ভাষায় নবী 

 

 

 

 

সত্যই ধর্ম, সত্যই শান্তি, 
সত্য আছে যেখানে,
আল্লাহ রাসুল আছে সেখানে
সত্য আছে যেখানে, শান্তি আছে সেখানে।


 

কাগজের পাতায় লিখে দিলাম আলপনা
অমর বাণী কইবে কথা যেদিন আমি থাকব না।

সংসারের মাঝে কয়েকটি সুর
রেখে দিয়ে যাব করিয়ে মধুর
দু একটি কাটা কড়ি দেব দুর
তারপর ছুটি নেব।


 

পথ ভুলে গিয়েছিল আবার এসেছে ফিরে

দাড়িয়ে রয়েছে দুরে, লাজ ভয়ে নত শীরে

সম্মুখে চলে না পথ তুলিতে পারে না আখি

কাছে গিয়ে হাত ধরে, ওরে তোরা আন ডাকি।

ফিরাসনে মুখ আজ নিরব ধিক্কার করি

আজ আন স্নেহ সুধা লোচন বচন ভরি।

অতীতে বরষী ঘৃণা কি বা তার হবে ফল

আধার ভবিষ্যৎ ভাবি হাত ধরে লয়ে চল।

স্নেহের অভাবে আছে এই লজ্জাবন প্রাণ

সঙ্কোচ হারায়ে ফেলে আন তারে ডেকে আন।

আসিয়াছে ধরা দিতে শত স্নেহ বাহুপাশে 

বেধে ফেল আজ ওরে গেলে যদি নাহি আসে।

দিনেকের অবহেলা, দিনেকের ঘৃণা ক্রোধ

একটি জীবন তোরা হারাবি জীবন শোধ।

তোরা কি জীবন দিবি অপেক্ষা বিষ বান

দুঃখ ভরা ক্ষমা লয়ে আন ওরে ডেকে আন।

bottom of page